১২ জুন, ২০১২

উইন্ডোজ ৮: আসছে ভবিষ্যতের অপারেটিং সিস্টেম [রিভিউ]

আপনি যদি এই ব্লগের নতুন পাঠক হন আর পরবর্তী সকল নতুন পোস্ট দ্রুত পেতে চান
তাহলে সাবস্ক্রাইব করুন RSS Feed !
আজ আপনাদের সামনে এলাম প্রথমবারের মত উইন্ডোজ রিভিউ নিয়ে, ইতিমধ্যেই উইন্ডোজ ৭, ভিস্তা, এক্সপি ব্যবহার করে সবাই যে সংস্করণটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন সেটি হলো উইন্ডোজ ৮। আমার আজকের রিভিউটি এই উইন্ডোজ এইটের নানা দিক ও সুবিধা-অসুবিধা নিয়েই।

মাইক্রোসফট যখন প্রথম উইন্ডোজ এইটের রুপরেখা ঘোষনা করে তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিপ্রেমীদের আলাপ-আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে এই উইন্ডোজ ৮। উইন্ডোজ সেভেনের নজরকাড়া সাফল্যের মাধ্যমে উইন্ডোজ ভিস্তার ব্যর্থতা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা মাইক্রোসফটের পরবর্তী এই অপারেটিং সিস্টেমটির দিকে স্বাভাবিক ভাবেই সবার আগ্রহ তৈরি হওয়া শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাইক্রোসফট উইন্ডোজে এইটের পরীক্ষামূলক বিভিন্ন সংস্করণ অবমুক্ত করা শুরু করে, নতুন নতুন ফিচার এবং ধারনা সমৃদ্ধ এই সংস্করণগুলো সবার টেস্ট করার সুবিধার্থে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোডের সুবিধাও দেয় মাইক্রোসফট। ফলে বিশ্বব্যাপী আগ্রহী ইউজাররা সহজেই উইন্ডোজ এইটের আসন্ন নানা ফিচারের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ লাভ করে।

পুরো বিশ্ব যখন কাঁপছে উইন্ডোজ ৮ জ্বরে তখন পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের উইন্ডোজ ব্যবহারকারী প্রযুক্তিপ্রেমীরাও, অনেকেই এসকল পরীক্ষামূলক সংস্করণ টেস্ট করা শুরু করে দেন।



সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ও প্রযুক্তি ব্লগের সুবাদে এদের নানা মতামত ও আলোচনা আমার নজরে পড়ে, লিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হওয়ায় শুরু থেকেই উইন্ডোজ ৮ নিয়ে আগ্রহ থাকলেও পরীক্ষামূলক সংস্করণ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে কিছুটা দ্বিধায় ভুগছিলাম। বিশেষ করে একটি ল্যাপটপই আমার সম্বল হওয়ায় কাজের সম্ভাব্য ব্যাঘাতের ভয়ে উইন্ডোজ ৮ টেস্ট করা থেকে পিছিয়ে ছিলাম সবসময়। তবে আমার মন পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগেনি...

গত ৩১শে মে মাইক্রোসফট অবমুক্ত করে উইন্ডোজ ৮ রিলিজ প্রিভিউ নামক পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আগামী ১৫ই জানুয়ারী, ২০১৩ পর্যন্ত এই সংস্করণটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। আগের সংস্ক্ররণগুলোর চেয়ে আরো উন্নত, স্ট্যাবল ও নানা নতুন ফিচার সমৃদ্ধ এই সংস্করণটি প্রথমবারের মত আমাকে টেস্ট করায় আগ্রহী করে তুলে। এরই মধ্যে টুইটারে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেহেদী ভাই (মাইক্রোসফট স্টুডেন্ট পার্টনার) এবং নির্ঝর (বাংলাদেশের টেক জগতের অন্যতম তরুণ প্রতিভা) এটি ব্যবহার করে রিভিউ জানান। উনাদের কাছ থেকে নানাভাবে উৎসাহ পেয়েই মূলত আমি এই সংস্করণটি ব্যবহার করতে মনস্থির করি এবং কিছুদিন পূর্বে ডাউনলোড করে ফেলি উইন্ডোজ ৮ রিলিজ প্রিভিউ এর ২.৪ গিগাবাইট সাইজের iso ফাইলটি।
এরপর বুটেবল পেনড্রাইভ বানিয়ে নিয়ে দ্রুত ইন্সটল করে ফেলি উইন্ডোজ ৮ রিলিজ প্রিভিউ (সিস্টেমে থাকা উইন্ডোজ সেভেন মুছে দিয়ে)। এরপর প্রথম দর্শনেই আমি এর প্রেমে পড়ে যাই...

নানা ফিচার ও সুবিধাসমৃদ্ধ এই সংস্করণটি ব্যবহার করে আমি বুঝতে পারি উইন্ডোজ এইটের মাধ্যমে নতুন এক যুগে পদার্পণ করতে চলেছে উইন্ডোজ। ভবিষ্যতের অপারেটিং সিস্টেমের একটি চেহারা আমার সামনে ভেসে ওঠে...আর আমার এই ভালোলাগা ও কিছুটা অসুবিধা যেগুলোর সম্মুখীন হয়েছি সেগুলো নিয়েই আজকের এই রিভিউ।
তাহলে এবার আসুন মূল আলোচনায় যাই।



প্রথমেই দেখে নিই এই রিলিজ প্রিভিউ সংস্করণটিতে কি কি ফিচার রয়েছেঃ

  •  উন্নত মেট্রো ইন্টারফেস, অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রো ইন্টারফেসের যুগে পা রাখতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট।
  • উন্নত নানা মেট্রো এপ্লিকেশন এবং এপ্লিকেশন স্টোর (এখান থেকে নানা এপ্লিকেশন ইন্সটল করা যাবে)।
  • বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ভার্সন ১০ (রিলিজ প্রিভিউ সংস্করণ), যেটি মেট্রো এবং ট্র্যাডিশনাল ডেস্কটপ এপ দুইভাবেই রয়েছে।
  • মাইক্রোসফট একাউন্ট (উইন্ডোজ লাইভ/হটমেইল) ব্যবহার করে লগ-ইন ও নানা ধরনের কাজ করার সুবিধা।
  • ছবি এবং পিন কোড ব্যবহার করে নতুন দুইটি অথেনটিকেশন সিস্টেম।
  • দ্রুত শাটডাউন এবং স্টার্ট-আপের জন্য হাইব্রিড বুট সিস্টেম।
  • 'উইন্ডোজ টু গো' ব্যবহার করে ইউএসবি থেকে উইন্ডোজ বুট ও ইন্সটলের সুবিধা।
  • ফাইল এক্সপ্লোরারে যুক্ত হয়েছে রিবন ইন্টারফেস।
  • নতুন লক-স্ক্রিণ
  • নতুনভাবে ডিজাইন করা টাস্ক ম্যানেজার।
  • নেটিভ ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে।
  • যুক্ত হয়েছে নতুন দুইটি রিকভারি সিস্টেম, রিফ্রেশ এবং রিসেট।
  • ফ্যামিলি সেফটি নামক সুবিধা।
  • বাড়তি এন্টিভাইরাস ইন্সটলের ঝামেলা দরকার নেই, এখন উইন্ডোজ ডিফেন্ডারেই যুক্ত হয়েছে এন্টিভাইরাস সুবিধা (MSE এর বিকল্প হিসাবে) যা সিস্টেমে রিয়েল-টাইম মনিটরের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা দিবে।
  • এক্সবক্স লাইভ ইন্টিগ্রেশন।
এছাড়াও আগের চেয়ে অনেক উন্নত পারফরমেন্স ও অন্যান্য ফিচার তো আছেই। বিশেষ করে ল্যাপটপ ব্যবহারকারী হিসাবে বলতে পারি, নতুন এই সংস্করণে ব্যাটারি ব্যাক-আপ এবং সিস্টেম পারফরমেন্স অনেকটাই উন্নত হয়েছে। ব্যাটারি ব্যাক-আপের দিক থেকে উইন্ডোজ সেভেনের চেয়ে এইট এগিয়ে আছে নিঃসন্দেহে, সেইসাথে সিস্টেম রেসপন্স এককথায় অসাধারণ!







ব্যাটারি ব্যাক-আপ এবং উন্নত সিস্টেম রেসপন্সের পাশাপাশি আরো যেসব বিষয় ভালো লেগেছে তারমধ্যে প্রথমেই আসবে মেট্রো ইন্টারফেসের কথা, নতুন এই ইন্টারফেস নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলেছে অনেক আগে থেকেই, এটিকে অনেকে ভালোভাবে নেয়নি, আবার অনেকেই এর প্রশংসা করেছে।
নিজে ব্যবহার করার পর মনে হচ্ছে মেট্রো নিয়ে যতটা সমালোচনা হয়েছিল আসলে এতটা খারাপ এটি নয়, অনেক মেট্রো এপস বেশ কার্যকরী এবং উপভোগ্য। ফাইনাল রিলিজে এগুলো আরো উন্নত হবে বলে ধারনা করছি। যদিও এখনো কার্যকারিতার দিক থেকে পুরোপুরি উপযোগী হয়ে উঠেনি অনেক মেট্রো এপ্লিকেশন, তবুও গতানুগতিক এপ্লিকেশনগুলোর সাথে তুলনায় এগুলোকে বেশ ভালো বলেই মনে হয়েছে। বিশেষভাবে নাম উল্লেখ করতে হলে আমি বলবো- মেইল, পিপল, রোয়ি টুইটার ক্লায়েন্ট, টুইটরো, মিউজিক ইত্যাদি এপ্লিকেশনের কথা। এছাড়া এপ্লিকেশন স্টোরে রয়েছে আরো কিছু মেট্রো এপস, ইউজার নিজের পছন্দমত ইন্সটল করে নিয়ে নিজের চাহিদা মেটাতে পারবেন।



Windows 8 Release Preview




এরপর আসবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের কথা, IE 10 এ প্লাগ-ইন ফ্রি ব্রাউজিংয়ের কথা বেশ জোরেশোরেই আলোচিত হচ্ছে, মেট্রো এপসে প্লাগ-ইন ব্যবহার না হলেও ডেস্কটপ এপসে এখনো প্লাগ-ইনের সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। এর পাশাপাশি রিলিজ প্রিভিউ সংস্করণে বিল্ট-ইন ভাবে যুক্ত করা হয়েছে ফ্ল্যাশ প্লাগ-ইন। আগের যেকোন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের চেয়ে আরো দ্রুত এবং নানা ফিচার সমৃদ্ধ এই সংস্করণটি আমার নজর কেড়েছে। তবে মেট্রো এপসে অনেক সাইটে ফ্ল্যাশ কাজ করেনা, নির্বাচিত কিছু সাইটে কাজ করে। তবে মাইক্রোসফটের লক্ষ্য হচ্ছে ফ্ল্যাশের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মেট্রো এপসটিকে আধুনিক HTML5 উপযোগী করে গড়ে তোলা।

ডিভাইস সাপোর্টের দিক থেকে উইন্ডোজ এইট অসাধারন, আউট-অব-দ্য-বক্স আমার সিস্টেমের সকল ডিভাইসই কাজ করেছে (বাংলালায়ন মডেম, সাউন্ড, টাচপ্যাড, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি সহ); আমি কিছুটা চিন্তায় ছিলাম আমার ভিডিও কার্ডটি নিয়ে, কিছুটা পুরাতন মডেলের ATI Mobility Radeon HD 4xxx সিরিজের কার্ডের জন্য সম্প্রতি AMD লেটেস্ট ড্রাইভার সাপোর্ট তুলে দিয়েছে, ফলে এটি উইন্ডোজ এইটে ঝামেলা করবে কি না এটা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিলাম। তবে ইন্সটলের পর আমার সন্দেহ দূর হয়ে গেছে, বিল্ট-ইন ড্রাইভারটি খুব ভালো কাজ করছে, ফুল রেজুলেশন সাপোর্ট সহ ভিডিও প্লে-ব্যাক ও ছোটখাট গেমস অনায়াসে চলছে এটি দিয়ে। উইন্ডোজ সেভেনের বিল্ট-ইন ড্রাইভার দিয়ে যে সুবিধাগুলো আমি পেতামনা, ফলে ভেন্ডর কর্তৃক সরবরাহকৃত ড্রাইভার ইন্সটল করতে হতো। উইন্ডোজ এইটে এসে এই চিন্তা আমার দূর হয়ে গেছে।

নতুন সংস্করণ রিলিজের পর ইউজারদের প্রধান একটি দুঃশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় পুরাতন সফটওয়্যার সাপোর্ট, উইন্ডোজ এইটের জন্য আলাদা সফটওয়্যার ভার্সন এখনো বাজারে সহজলভ্য না হলেও উইন্ডোজ ৭/ভিস্তা/এক্সপি সাপোর্ট করে এমন সকল সফটওয়্যারই এইটে অনায়াসে চালানো যাচ্ছে। আমি আমার কাজের সকল সফটওয়্যারই উইন্ডোজে এইটে চালাতে পেরেছি ও বেশ ভালোভাবেই সেগুলো চলছে। শুধু Auslogics Boost Speed নামক একটি সফটওয়্যার আমি চালাতে পারিনি। ফলে সফটওয়্যার সাপোর্ট নিয়ে আলাদা চিন্তা করার কোন দরকার পড়বেনা বলেই আমার ধারনা।

উইন্ডোজ ইউজাররা সবসময়ই যে জুজুর ভয়ে ভোগেন (এবং কতিপয় লিনাক্স ফ্যানবয় যে আতংকটি ইউজারদের মনে ঢুকিয়ে দেন) তা হলো ভাইরাস আক্রমণ! উইন্ডোজ মানেই ভাইরাসের ডিপো এই ধারনাটি এখন পাল্টে ফেলার সময় হয়ে এসেছে বলে আমার বিশ্বাস। উইন্ডোজ এইট আগের সকল ভার্সনের চেয়ে আরো বেশি নিরাপদ এবং ভাইরাস আক্রমনের ঝুঁকি অনেকটাই কম। বিল্ট-ইন এন্টিভাইরাস হিসাবে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার থাকায় বাড়তি এন্টিভাইরাস নিয়ে দৌড়াদৌড়ির কোনই দরকার নেই! নিয়মিত আপডেটেড থাকলে এটি অনেক উন্নতমানের একটি এন্টিভাইরাস হিসাবে কাজ করবে। মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালসের বিকল্প হিসাবেই এটি ডেভেলপ করা হয়েছে নতুনভাবে। এছাড়া বাড়তি নিরাপত্তার বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকায় ইউজার অনেক ভারমুক্তভাবে পিসি চালাতে পারবেন।

উইন্ডোজ ৮ রিলিজের আগে সিকিউর বুট বা এটি ইন্সটল দিলে অন্য কোন ওএস চালানো যাবেনা ইত্যাদি বিষয়ে একটি গুজব বেশ ডালপালা মেলেছিল, এটি নিয়ে অনেকেই (বিশেষ করে যারা ডুয়াল-বুটে লিনাক্স চালান) আতংকে ছিলেন। কিন্তু এটি যে অমূলক ধারনা ছিলো সেটাও বেশ ভালোভাবে বোঝা গিয়েছে। আমি নিজে উইন্ডোজ এইটের সাথে ল্যাপটপে ডুয়াল-বুটে উবুন্টু ১২.০৪ চালাচ্ছি, উইন্ডোজ ইন্সটলের পর শুধু লাইভ সিডি থেকে উবুন্টুর গ্রাব২ রিস্টোর ও গ্রাব আপডেট দিতেই কাজ হয়ে গেলো! গ্রাব অটোমেটিক উইন্ডোজ ৮ ডিটেক্ট করেছে এবং গ্রাব থেকে সাধারন নিয়মেই উইন্ডোজ এইট চালু করা যাচ্ছে। ফলে উইন্ডোজ এইটের সাথে লিনাক্স ডুয়াল-বুট নিয়ে যারা চিন্তায় ভুগছেন তাদের আশ্বস্ত করতে পারি এরকম কোন সমস্যাতেই ভুগতে হবেনা।

উন্নত ব্যাটারি ব্যাক-আপ ও সিস্টেম রেসপন্সের কথা আগেই বলেছিলাম, উইন্ডোজ এইটে নানাভাবে এরো ইফেক্ট সহ অপ্রয়োজনীয় অনেক ইফেক্টের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনা হচ্ছে, ফলে ব্যাটারি ব্যাক-আপের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, ল্যাপটপে সাধারনের চেয়ে বেশ ভালো ব্যাক-আপ পাচ্ছি। আমার সিস্টেম রেসপন্স দ্রুত হওয়ার কারনে আগের চেয়ে উইন্ডোজে কাজ করে বেশ আনন্দ লাভ করছি। তুলনামূলক কম কনফিগারেশনসম্পন্ন পিসিতেও (যেগুলোতে উইন্ডোজ সেভেন কিছুটা স্লো চলতো) উইন্ডোজ এইটের পারফরমেন্স বেশ ভালো, আমার ছোটভাইয়ের ১ জিবি র‍্যাম ও ইন্টেল ডুয়াল-কোর প্রসেসরের পিসিতেও উইন্ডোজ এইট চলছে এবং বেশ ভালোভাবেই চলছে।



সবমিলিয়ে উইন্ডোজ এইট অপারেটিং সিস্টেমের জগতে ঝড় তুলছে যাচ্ছে বলেই আমার ধারনা, এই অপারেটিং সিস্টেম চালিয়ে আমি সন্তুষ্ট ও আমার কাছে সবমিলিয়ে এটিকে বেশ ভালোই মনে হয়েছে।
ফাইনাল ভার্সন রিলিজের পর এটি প্রযুক্তি জগতে  সাড়া ফেলবে বলেই ইউজাররা ধারনা করছেন। এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে মাইক্রোসফটের সাফল্যের পাখায় নতুন পালক যুক্ত হবে বলেই সবার বিশ্বাস।

এছাড়া ডেস্কটপের পাশাপাশি ট্যাবলেটের জন্যও উইন্ডোজ এইট সংস্করণ আনায় পিসির পাশাপাশি পোর্টেবল সিস্টেমেও এই অপারেটিং সিস্টেম রাজত্ব করতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছেন। বিশেষ করে বর্তমানে একচেটিয়া এপলের আইপ্যাডের দখলে থাকা ট্যাবলেট পিসির বাজারে উইন্ডোজ এইটভিত্তিক ট্যাব যথেষ্ট প্রতিযোগীতা আনবে বলে সবার ধারনা।

আজ তাহলে আলোচনা এখানেই শেষ করছি। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, যারা এখনো উইন্ডোজ এইটের স্বাদ আস্বাদন করেননি তারা দ্রুত এই রিলিজ প্রিভিউ সংস্করণটি নামিয়ে টেস্ট করে ফেলতে পারেন, আশাকরি হতাশ হবেননা। এই পোস্টের নিচে ৩২ ও ৬৪ বিট সংস্করণের সরাসরি ডাউনলোড লিংক যুক্ত করে দিলাম (সিরিয়াল কী সহ)

সবাই সুস্থ থাকুন। শুভরাত্রি...





ডাউনলোড

Windows 8 Release Preview (32-bit) [iso]
Windows 8 Release Preivie (64-bit) [iso]

Product Key:  TK8TP-9JN6P-7X7WW-RFFTV-B7QPF

1 মন্তব্য:

শামীমা বলেছেন...

নতুনত্ব তাহলে কি থাকল? সব ফিচারগুলোই তো লিনাক্স ব্যবহারকারীরা কয়েকবছর আগে থেকে ব্যবহার করছে।

মন্তব্যে ইমোটিকন ব্যবহারের জন্য ইমোটিকনের পাশের কোডটি আপনার কি-বোর্ডের সাহায্যে টাইপ করুনঃ
:)) ;)) ;;) :D ;) :p :(( :) :( :X =(( :-o :-/ :-* :| 8-} :)] ~x( :-t b-( :-L x( =))

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন