১৫ জুন, ২০১১

ফেডোরায় সাম্বা সার্ভার কনফিগারেশন এবং ফাইল শেয়ারিং

প্রিয় পাঠক, আজ আবারো আপনাদের সামনে এলাম আরেকটি টিউটোরিয়াল নিয়ে। এটি সাম্বা-সার্ভার কনফিগার এবং এর মাধ্যমে লিনাক্স এবং উইন্ডোজ মেশিনের মধ্যে ফাইল শেয়ারিং বিষয়ক। অনেক বাসায় কিংবা অফিসে (যেখানে একাধিক কম্পিউটার রয়েছে এবং যেগুলো একই নেটওয়ার্কের আওতায়) অনেক কম্পিউটারে উইন্ডোজ এবং অনেক কম্পিউটারে লিনাক্স ইন্সটল্ড থাকে, লিনাক্স থেকে লিনাক্স মেশিনে ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য বিশেষ কোন মেকানিজম দরকার না হলেও লিনাক্স থেকে উইন্ডোজ মেশিনে ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য সাম্বা-সার্ভার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আসুন প্রথমেই দেখি সাম্বা কি-


সাম্বা হচ্ছে SMB/CIFS Networking Protocol এর একটি ফ্রি সফটওয়্যার ইম্পলিমেন্টেশেন যেটি এন্ড্রু ট্রিগেল কর্তৃক উদ্ভাবিত। এর মাধ্যমে উইন্ডোজ ক্লায়েন্টের সাথে ফাইল ও প্রিন্টার শেয়ারিং করা যায় এবং এর মাধ্যমে উইন্ডোজ সার্ভার ডোমেইনে সহজেই কাজ করা যায়। বেশিরভাগ লিনাক্স/ইউনিক্স-লাইক সিস্টেমেই এটি কাজ করে। এমনকি এটি এপলের ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমেও সমান কার্যকর। আজকাল বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রোতেই উইন্ডোজ মেশিনের সাথে ফাইল ও প্রিন্টার শেয়ারিংয়ের সুবিধার্থে এটি দেওয়া হয়ে থাকে। সাম্বা নামটি এসেছে SMB (Server Message Block) থেকে যেটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজের নেটওয়ার্ক ফাইল সিস্টেমের একটি প্রটোকল। সাম্বা ওপেনসোর্স এবং GNU GPL লাইসেন্সের আওতায় রিলিজকৃত। এর সর্বশেষ স্টেবল ভার্সন ৩.৫.৮।

১০ জুন, ২০১১

টিপসঃ অপেরা ব্রাউজার সম্পর্কিত কিছু টুইক

বর্তমানে বিশ্বে জনপ্রিয় ক্রস-প্লাটফর্ম ব্রাউজারের নাম বলতে গেলেই ফায়ারফক্স ও গুগল ক্রোমের পরই অবধারিতভাবে চলে আসবে অপেরা ব্রাউজারের নাম। মোবাইল হ্যান্ডসেটে ইন্টারনেট ইউজ করছেন এমন ইউজারমাত্রই অপেরা মিনি বা অপেরা মোবাইলের নাম শুনে থাকবেনই। সেই Opera Software ASA কর্তৃক রিলিজকৃত পিসি ব্রাউজারই হলো অপেরা। মোবাইল প্লাটফর্মের মত কম্পিউটার প্লাটফর্মে এতটা সফল না হলেও বর্তমানে ব্রাউজার পরিসংখ্যানে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এর স্থান ৫ম এবং মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ প্রায় ২.৬%।



আজকাল অনেকেরই কম্পিউটারে ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পাশাপাশি অপেরা ব্রাউজারও রয়েছে এবং অনেকেই এটি নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। সেইসব অপেরা ব্যবহারকারী ও যারা আগামীতে অপেরা ব্যবহারের ইচ্ছা রাখেন তাদের সবার জন্যই আমার আজকের এই টিপস। এর আগের একটি পোস্টে আমি বলেছিলাম কিছু সেটিংস পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে মজিলা ফায়ারফক্সকে দ্রুতগতিসম্পন্ন করা যায়, আজ সেভাবেই দেখাবো অপেরা ব্রাউজারের সেটিংস পরিবর্তনের মাধ্যমে একে দ্রুতগতিসম্পন্ন করে তোলার উপায়। আর যথারীতি এসকল টিপস সকল প্লাটফর্মের অপেরার জন্যই প্রযোজ্য।

৯ জুন, ২০১১

টিউটোরিয়ালঃ ৬৪-বিট লিনাক্স ডিস্ট্রোতে পূর্নাঙ্গ ৩২-বিট সাপোর্ট এনাবল করা

আজ আবার আপনাদের সামনে এসেছি আরেকটি টিউটোরিয়াল নিয়ে। আপনারা অনেকেই নিশ্চয় অবগত আছেন, আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ৩২-বিট ও ৬৪-বিট এই দুইভাগে বিভক্ত করা যায়। একসময় আমাদের দেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ কম্পিউটারেই ৩২-বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হতো, এমনকি বর্তমানেও এই ধারা অনেকটাই অব্যাহত আছে। কিন্তু উন্নত হার্ডওয়্যার সাপোর্টের এই যুগে বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক ইউজারই ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করেছেন। ৩২-বিট অপারেটিং সিস্টেমে ৬৪-বিট এপ্লিকেশন চালানো যায় না, কিন্তু ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমে ৩২-বিট এপ্লিকেশন সমূহ সহজেই চালানো যায় যদি সঠিক লাইব্রেরী ফাইলসমূহ ইন্সটল থাকে।
অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের মত লিনাক্স ঘরানার অপারেটিং সিস্টেম বা ডিস্ট্রোগুলোও ৩২-বিটের পাশাপাশি ৬৪-বিট ভার্সন রিলিজ দেয় এবং অনেক ইউজারই এখন সেগুলো ইউজ করছেন। এখন এই ৬৪-বিট লিনাক্স ডিস্ট্রো ইউজারদের জন্য ডিস্ট্রোসমূহের রিপোতে তাদের আর্কিটেকচারের উপযোগী প্যাকেজ দেওয়া থাকে। কিন্তু তবুও কখনো কখনো বিশেষ প্রয়োজনে ৬৪-বিট ইউজারদের কিছু ৩২-বিট প্যাকেজ ইন্সটলের দরকার হয়ে পড়ে, বিশেষ করে- অনেক সফটওয়্যার ভেন্ডর তাদের সফটওয়্যারের কেবলমাত্র ৩২-বিট ভার্সন রিলিজ দেন (উদাহরনস্বরুপ- Yoono, Qnext ইত্যাদি), অর্থাৎ শুধুমাত্র ৩২-বিট আর্কিটেকচারের উপযোগী প্যাকেজ তারা সরবরাহ করেন। এখন এধরনের সফটওয়্যারসমূহ চালানোর প্রয়োজনে ৬৪-বিট ডিস্ট্রো ইউজারদের প্রয়োজনীয় ৩২-বিট লাইব্রেরী সমূহ ইন্সটল থাকা দরকার।